শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য মিথ্যা মামলায় বেআইনিভাবে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা তার (খালেদা জিয়ার) স্বাস্থ্য নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমরা বার বার তার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা সরকারি হাসপাতালে তার চিকিৎসা দিতে চাইনা, তিনিও যেতে চান না। কারণ সরকারের উপর আস্থা রাখা যায় না। বিশ্বাস করা যায় না। আমরা একটি বিশেষায়িত হাসপাতালের কথা বলেছি। কিন্তু আরো তো বিশেষায়িত হাসপাতাল আছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব জানান, আজ খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বিএনপি। একই সঙ্গে তার সুচিকিৎসার দাবি জানানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। এসময় মির্জা আলমগীর অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়েছে। তাকে হত্যা করার হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া মুক্ত হলে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
আগামী নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হতে বাধ্য। দেশনেত্রীকে রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রেখে একতরফাভাবে নিজেদেরকে নির্বাচিত করার নীল নকসার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে সরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, আদালত কোথায় বসবে সেটা প্রধানমন্ত্রী বললেই তো হবেনা। এটি সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিগত জিঘাংসা চরিতার্থ করার জন্য করা হচ্ছে। তবে ব্যক্তিগত জিঘাংসার কোন কারণ তো আমরা বুঝতে পারিনা। খালেদা জিয়াকে এতো ভয় কেন। সব কিছু ঠিক থাকলে নির্বাচনটা ঠিক মতো দেন। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। অন্যথায় সকল দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
Leave a Reply